সমস্ত লেখাগুলি

প্রতিটা মানুষই স্বভাবগতভাবে কম বেশি নাস্তিক -
শোভন নস্কর
Nov. 20, 2024 | নাস্তিকতা | views:770 | likes:0 | share: 1 | comments:0

প্রতিটা মানুষই স্বভাবগতভাবে কম বেশি নাস্তিক। পুরোপুরি আস্তিক মানে সে বদ্ধপাগল।   কি হলো কানে হাত চেপে মনে হচ্ছে, ইসস কি শুনলাম! আমি নাস্তিক হলাম কিভাবে!  হ্যাঁ, মন্দিরে ঘন্টা বাজানো পুরোহিত থেকে মসজিদের ইমাম পর্যন্ত সবাই নাস্তিক!  কিন্তু তাহলে নিজেদের নাস্তিক না বলে ঘোর ঈশ্বর বিশ্বাসী বলে কেন?  আসলে সমাজের চাপানো ক্রমাগত মিথ্যার আস্তরণের চাদর ভেদ করে উঠতে পারেনা৷ প্রতিটা মানুষ নিজেকে বোঝায় সে আস্তিক, যদিও সে না৷ জীবনের বহু এমন ক্ষণিকের সিচুয়েশন তৈরি হয় যেখানে সে ইশ্বরকে অবিশ্বাস করে ফেলে!  

  একজন সাধারণ মানুষকে কিভাবে নাস্তিক প্রমাণ করবেন?  খুব সোজা, কিছু টাকা ধার নিয়ে বলুন, পরকালে টাকা শোধ করে দেবো। কারোর ক্ষতি করে বলুন, ঈশ্বর আমাকে শাস্তি দেবে, আপনি দয়া করে পুলিশে যাবেন না!   কারোর মুখ থেকে মাস্ক সরিয়ে বলুন, চলুন মন্দিরের ভীড়ে গিয়ে দাঁড়াতে হবে। মুসলমানদের সভায় বড় বড় করোনা তাড়ানো হুজুররাও জানে করোনার সময় মক্কা বন্ধ রাখতে হয়। কোটি কোটি মানুষের প্রবলেম চুটকিতে সলভ করে দেওয়া তিরুপতি মন্দিরও বন্ধ হয়ে যায়৷ তাহলে কি ওই ইমাম বা পুরোহিতগুলো ঈশ্বরের ভরসায় ওগুলো কি খুলে রাখতে পারতো না? হু হু বাওবা!  খেল তো ওখানেই৷ প্রতিটা মানুষ জানে গীতা বা কোরানের কোন নিয়মই বর্তমান জীবনে মেনে চলা সম্ভব নয়। 'যাহা গেছে তাহা যাবে ', 'যা হয় সবই ভালোর জন্য' ঘোর ধর্মবিশ্বাসী মানুষের কাছ থেকে এক লাখটাকা চুরি করে এইসব ডায়লগ ঝেড়ে আসুন তো!  পিটিয়ে সোজা করে দেবে।  

  হাজার হাজার কট্টর ধর্মবিশ্বাসী যারা অন্য ধর্মকে শ্রদ্ধা করে না, বিপদে পড়লে সুড় সুড় করে বেজাতের ডাক্তার দেখাতে দ্বিধাবোধ করবে না। মন্দির মসজিদে পড়ে থাকার থেকে বেজাতের ডাক্তারকে তখন শ্রেয় মনে করে।  

  এখন প্রশ্ন আসতেই পারে, মানুষ যদি নাস্তিকই হয় তাহলে আস্তিকতার মুখোশ পরে থাকে কি করে?  কারণটা খুবই সোজা। মানুষ দলবদ্ধপ্রানী৷ প্রাচীনকাল থেকে নানা গোষ্ঠী তৈরি করে গেছে। তার থেকে হয়েছে গোষ্ঠী দন্দ্ব। ক্রমাগত একে অপরের থেকে উঁচু, এটা বোঝাতে নিজেদের গোষ্ঠীকে বড় করে গেছে। সেটা এখনো করে যাচ্ছে এবং যেটা করার দায়িত্ব নিয়েছে ধর্মগুরু, বলা যেতে পারে ধর্মব্যবসায়ীরা। তারা ঘোষিত নাস্তিকের থেকেও বড় নাস্তিক। কাল্পনিক ঈশ্বর এবং তার গুনকীর্তন করে গোষ্ঠীবৃদ্ধিই তার কাজ।

আমাদের কথা


এই দুর্নিবার সময়েও লেখনী চালিয়ে যাওয়ার মত ধীশক্তি ধরে রেখে মুক্তচিন্তকরা নিরন্তর লিখে চলেছেন। তাঁদের লেখাগুলি সংকলিত করে প্রকাশিত হয়ে চলেছে চেতনার অন্বেষণে পত্রিকা। যা দুই বাংলার পাঠকদের কাছে দ্রুত সমাদৃত হয়। এই পথ চলার একটি ধাপে এসে অন্বেষণ পাবলিশার্স পথ চলা শুরু করেছে মূলত মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনস্ক বইগুলিকে পাঠকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে। আমাদের কথা বলতে লেখক, পাঠক সবাই মিলিয়েই আমরা।

ওয়েবসাইট প্রসঙ্গে


এটি মূলত বিজ্ঞানমনস্কতা, যুক্তিবাদ চর্চা এবং বইপত্রের প্ল্যাটফর্ম। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যুক্তিবাদীদের লেখার চর্চাকে অনুপ্ররণা যোগাবে। লগইন করে আপনিও লিখতে পারবেন, ওয়েবসাইটটি সমস্ত বিজ্ঞানমনস্ক, যুক্তিবাদীদের উদ্দেশ্যে নির্মিত।

যোগাযোগ


Email: yuktibadira@gmail.com

WhatsApp: +91-9433794-113


Website visit count:
86933